
বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর পুরোপুরি সুফল পেতে এ প্রকল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উদ্যোগে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি, রহমতপুর ও মাধবপাশা ইউনিয়নে মোট ৪০.৭৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। জমির মালিকদের দ্রুত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দাবির আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সমাপ্তি রায়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, মাঠপর্যায়ের জরিপ শেষ হয়েছে এবং অতি শিগগিরই ক্ষতিপূরণ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, “জমি অধিগ্রহণের নোটিশ উপজেলা নির্বাহী অফিসে সাঁটানো হয়েছে। জনগণ যাতে সহজেই তাদের জমি শনাক্ত করতে পারে সে জন্য নোটিশ বোর্ডে দাগ ও খতিয়ান নম্বর দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ ও জনবান্ধব উপায়ে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “ভাঙ্গা-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়বে।”
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভাঙ্গা-বরিশাল ৯১ কিলোমিটার সড়কটিতে যানবাহনের চাপ বেড়ে দুর্ঘটনা ও সময় অপচয়ও বাড়ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের চার লেন উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে, খুব শিগগিরই দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার হারও কমবে।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আশা, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবশেষে তারা পদ্মা সেতুর কাঙ্ক্ষিত সুফল ভোগ করতে সক্ষম হবে।