📌 দৈনিক শেষ কথা

 

পুলিশ–প্রশাসনের দায় এড়ানোর চেষ্টা, স্থানীয়দের ক্ষোভ

 

স্টাফ রিপোর্টার (বরগুনা):

নৌ-বাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের অভিযানে জব্দকৃত প্রায় ১,৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ আমতলী থানার ভেতর থেকেই প্রকাশ্যে লুট হয়ে গেছে!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল 👇

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ঘটনার পর থেকেই আমতলীসহ পুরো বরগুনা জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশ ও প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান,

 

স্থানীয় সূত্র জানায়—

১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু আমতলী, তালতলী ও কলাপাড়ার অসাধু জেলেরা নিয়ম অমান্য করে অবাধে জাটকা শিকার চালাচ্ছিল। পাচারের উদ্দেশ্যে চারটি পরিবহন গাড়িতে করে মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নেওয়ার সময় নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে মাছ জব্দ করে থানায় জমা রাখে।

 

বিকেলে জব্দকৃত মাছ স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক সেই সময় দুই শতাধিক লোক—যাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও ছিলেন বলে অভিযোগ!—থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পুরো মাছ লুট করে নিয়ে যায়,

পুলিশের সামনেই লুট!

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন—

 

“পুলিশের সামনেই মাছ লুট হয়েছে। তারা দাঁড়িয়ে দেখেছে। রাজনৈতিক চাপে কিছু বলতে পারেনি।”

আরও অভিযোগ—আগের দিনও জাটকা জব্দ হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বিশৃঙ্খলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন—

 

“থানার মতো নিরাপদ জায়গায় এমন লুট দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। প্রশাসন দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেনি।”

দায়িত্বশীলদের বক্তব্য একেক রকম-

 

✅ মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন-

 

“আমি প্রশিক্ষণে ছিলাম। এতিমখানায় বিতরণের সময় অপরিচিত শতাধিক মানুষ এসে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।”

✅ থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেছেন –

 

“অর্ধেক বণ্টন করা গেছে, বাকি অর্ধেক নিয়ে গেছে। ঠেকানোর চেষ্টা করেছি—ব্যর্থ হয়েছি।”

 

 

 

✅ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন –

 

“বিষয়টি আমার জানা নেই। থানার ভেতর থেকে লুটের প্রশ্নই আসে না! তারপরও অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

 

 

স্থানীয়দের প্রশ্ন—

থানা যদি নিরাপদ জায়গাই না হয়, তাহলে প্রশাসনের ভরসা কোথায়!

 

সরকারি অভিযান সফল হলেও ব্যবস্থাপনায় বড় ব্যর্থতা-

 

পুলিশের অক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ!

 

প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট!

শিক্ষার্থী থেকে সাধারণ মানুষ—সবাই ক্ষুব্ধ।

তাদের ভাষায়—

 

“জাটকা রক্ষা কর্মসূচি কাগজে-কলমে নয়, মাঠেও শক্ত হতে হবে।”

 

তদন্ত ও বিচারের দাবি-

 

স্থানীয়রা মনে করেন—এই ঘটনায় শুধু মাছ নয়, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে প্রশাসনের সততা ও সক্ষমতা।

জাবাব চাই—

 

By দৈনিক শেষকথা

দৈনিক শেষকথা প্রকাশনার ২৩ বছর__ "দৈনিক শেষকথা" সরকারি মিডিয়াভূক্ত বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা, রেজি নং-ঃ কেএন-৪৪১, Daily Seshkatha News24, সম্পাদক - মোঃ ইউনুস সোহাগ। নির্বাহী-সম্পাদক - মিজানুর রহমান। উপদেষ্টা মন্ডলি প্রধান - হাফিজুর রহমান, সহযোগী সম্পাদক-- মো: আতিকুর রহমান ইশতি। বার্তা সম্পাদক- আরিয়ান শ্রাবণ- জুবায়ের, সহযোগী বার্তা সম্পাদক - রাইসা ও মাইসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com