
💔 ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার মামলা: বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এবার সাবেক স্ত্রী, বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাভলী আক্তার নিপা বাদি হয়ে ১ কোটি, ৩১ লক্ষ, ২১ হাজার, ৬ শত ৬৬ টাকার মামলা দায়ের করেছেন। সদ্য ডিভোর্স হওয়া তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপা দেনমোহর ও অন্যান্য পাওনা আদায়ের দাবিতে এই মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
⚖️ মামলার কারণ ও আর্থিক দাবি
সূত্র মতে, বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিনের সাথে বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাভলী আক্তার নিপার সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ (ডিভোর্স) হয়। বিচ্ছেদের পর দেনমোহরের টাকা এবং অন্যান্য আর্থিক পাওনা পরিশোধ না করায় সাবেক স্ত্রী নিপা আক্তার তার বিরুদ্ধে এই বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মো. জসিম উদ্দিন ও লাভলী আক্তার নিপা প্রথমে ১০ লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সম্পর্কের অবনতি ঘটলে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে, জসিম উদ্দিন ভুল স্বীকার করে পুনরায় নিপাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন এবং ২৮.০৪.২০২৫ তারিখে ৯১ লক্ষ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন।
সাম্প্রতিককালে, ০১.১০.২০২৫ তারিখে কাবিনের টাকা পরিশোধ না করেই তাদের পুনরায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয়বার বিবাহ বিচ্ছেদের পর এই বিপুল পরিমাণ দেনমোহর ও আনুষাঙ্গিক পাওনা পরিশোধ না করার জেরেই নিপা আক্তার এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
📰 জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ-
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর এই মামলা ছাড়াও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
দুর্নীতির তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
* অফিসে পরিবার নিয়ে বসবাস: অভিযোগ রয়েছে, তিনি অফিসের তৃতীয় তলায় ২টি রুম নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন এবং পাশের অন্য দুটি রুম স্টাফদের কাছে ভাড়া দেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে এটি স্বীকারও করেছিলেন।
* নিয়োগ বাণিজ্য: তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
* অফিস সহকারীকে মারধর: দ্বিতীয় বিবাহের কথা প্রথম স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়ায় তিনি গত ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে অফিস সহকারী গোলাম কবিরকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
* সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা: তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ৩০ অক্টোবর তিনি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্য ভাইরাল 👇
অন্যদিকে সচেতন মহল শাস্তি চেয়ে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন 👇
🗣️ সর্বত্র চাঞ্চল্য-
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে এত বড় অঙ্কের মামলা দায়েরের ঘটনায় বরগুনার সুশীল সমাজ ও সরকারি মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর এই আইনি পদক্ষেপ এবং দুর্নীতির ধারাবাহিক অভিযোগ জেলার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে!!


