
বরগুনা প্রতিনিধি:
সরকারি কার্যালয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যক্তিগতভাবে বসবাস করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের জেরে পদাবনতি বা পদমর্যাদা হ্রাস করে বদলি করা হয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার আলোচিত কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে।
অফিসকে বাসাবাড়ি বানিয়ে থাকছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বরগুনায় সমালোচনার ঝড়
দৈনিক শেষ কথা-সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে “সরকারী কার্যালয়ে ব্যক্তিগত আবাস” শিরোনামে গত ২৫ অক্টোবর সংবাদ প্রকাশের পর এই ব্যবস্থা নিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
📉 পদাবনতি ও বদলি
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে তাঁর পদ থেকে পদাবনতি (ডিমোশন) দেওয়া হয়েছে। তাঁকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা থেকে অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
* পদাবনতি: উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (সমমর্যাদার) থেকে অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা।
* প্রথম বদলি: বরগুনা সদর উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা।
* সংযুক্তিকরণ: বোয়ালমারী উপজেলা থেকে তাঁকে ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই বদলি ও পদাবনতির ঘটনা সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
🏛️ নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ
অভিযোগ ছিল, বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর অফিসিয়াল কার্যক্রমের বাইরেও রাত্রিযাপনসহ ব্যক্তিগত আবাস হিসেবে ব্যবহার করতেন। ওই কক্ষটি পূর্বে ডেভেলপমেন্ট সেকশনের কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হতো। সরকারি কার্যালয়কে ব্যক্তিগত আবাস হিসেবে ব্যবহার করা সরকারি কোনো নীতিমালার আওতাভুক্ত নয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে পূর্বে জানিয়েছিলেন যে, বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি ডরমিটরি থাকলেও সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই।
সংবাদ প্রকাশের পর দ্রুত এই পদাবনতি ও বদলির ঘটনা প্রমাণ করে, সরকারি কার্যালয়ের অব্যবস্থাপনা এবং নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
