
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) অসিম চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের নামে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী তাতীপাড়া গ্রামের মো. চুন্নু মৃধা বিষয়টি নিয়ে সুবিচার প্রত্যাশা করে রোববার বিকেলে বরগুনা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে চুন্নু মৃধা দাবি করেন, এসআই অসিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি নানাভাবে বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।
সূত্র মতে, গত ২৮ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জেরে তাতীপাড়া এলাকার রিপন মৃধাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুম বিল্লাহ ও তার সহযোগীরা এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। রিপনের চিকিৎসায় ঢাকায় তিন মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ঘটনার পর রিপনের বাবা আনোয়ার মৃধা বাদী হয়ে মাসুম বিল্লাহসহ ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তালতলী থানায় মামলা রুজু করা হলে তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই সুশান্ত।
তবে পরবর্তীতে মামলাটি ধামাচাপা দিতে— এমন অভিযোগ তুলে— আসামি মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে রিপনের ভাগ্নে হৃদয় হাওলাদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পাল্টা চাঁদাবাজির মামলা করেন। আর সেই মামলার তদন্তভার পান এসআই অসিম চন্দ্র দাশ।
চুন্নু মৃধার অভিযোগ, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এসআই অসিম মামলার আসামিদের হয়রানি এবং প্রতিবেদন প্রভাবিত করার জন্য শুরুতে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা দেন। তবুও আদালতে মিথ্যা চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, “ঘুষ নেওয়ার পরও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। উল্টো আমাকে আবারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
এ বিষয়ে এসআই অসিম চন্দ্র দাশ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”
বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন সিকদার বলেন, “ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”