
সামান্য জমি নিয়ে বিরোধ:
বরগুনার তালতলীতে সামান্য জমির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে বোনের আত্মঘাতী আঘাত দেখিয়ে ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার জয়ালভাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা গ্রামের মৃত আমজেদ ফরাজীর ছোট স্ত্রীর মেয়ে মরিয়ম বেগমের সঙ্গে তারই সৎ ভাই নাসির ফরাজী, সেলিম ফরাজী ও চুন্নু ফরাজীর জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর মরিয়ম বেগম নিজের মাথায় আঘাত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র জমি-সংক্রান্ত বিরোধে ভাইদের ফাঁসিয়ে হয়রানি করতে মরিয়ম বেগম এই নাটক সাজিয়েছেন। দ্রুত সঠিক তদন্ত করে মামলার সত্যতা বের করার দাবি জানান তারা,
মামলার প্রধান সাক্ষী মারজিয়া বেগম বলেন, “চিৎকার শুনে আমি মরিয়মের ঘরে যাই। তাকে বোকরা পড়ে থাকতে দেখি। তবে কাউকে তাকে মারতে দেখিনি। তখন তার মাথা বা শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্নও ছিল না।
অন্য সাক্ষী কহিনুর বেগম বলেন, “ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে গ্রামের লোকজনের কাছে শুনেছি মামলা হয়েছে। অথচ আমাকে কোনো পূর্বজ্ঞাত না রেখেই মামলার সাক্ষী বানানো হয়েছে।”
মামলার আসামি নাসির ফরাজী অভিযোগ করেন, “আমাদের হয়রানি করার জন্যই বোন মরিয়ম বেগম নিজে আঘাত করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মরিয়ম বেগমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।মানববন্ধনে বক্তারা বিষয়টির সঠিক তদন্ত এবং নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।